পানিতে ভাসমান নিঝুমদ্বীপ

ছায়েদ আহমেদ, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ অগাস্ট ২০২২, ০৪:২৯ পিএম


পানিতে ভাসমান নিঝুমদ্বীপ

ছবি: একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লঘুচাপের ফলে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ১১নং নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন প্রায় ৩ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত, গত ৩ দিন অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে গোটা দ্বীপ তলিয়ে গেছে।

অতিরিক্ত জোয়ারে আজ শুক্রবার ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে নিঝুম দ্বীপ। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে বসবাস করছে পর্যটনকেদ্র হিসেবে খ্যাত নিঝুমদ্বীপের মানুষ । প্রয়োজন দেখা দিয়েছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান। 

 

 নিঝুমদ্বীপের দেশ নোয়াখালী'র এই নিঝুম দ্বীপটি আজ অরক্ষিত। ভৌগোলিক অবস্থার দিক থেকে এটি হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী একটি ইউনিয়ন। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে যার খ্যাতি রয়েছে বহু । স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিবছর হাজারো পর্যটকদের ভীড় থাকে সমুদ্র উপকূলীয় নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে।

অতুলনীয় সৌন্দর্যের হাতছানি আর মায়াবী হরিণের সমাগমে নিদারুণ যশ রয়েছে নিঝুমদ্বীপের । নিঝুম দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার মায়াবী হরিণ রয়েছে। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনে বর্ষাকালে জীবন অসহ্য হয়ে পড়ে সেখানকার মানুষের । শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত জোয়ারের পানির কারণে বিলিন হয়ে যাচ্ছে হরিণসহ সেখানকার অনেক বন্যপ্রাণী। একসময় নিঝুমদ্বীপে সারি সারি হরিণের দেখা মিললেও এখন তেমন বেশী দেখা যাচ্ছে না । নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছে হরিণগুলো । পাশ্ববর্তী উঁচু চরগুলোতে আশ্রয় নিলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না হরিণগুলোকে। সমুদ্র উপকূলীয় অবস্থানের কারণে দ্বীপ ইউনিয়ন নিঝুমদ্বীপের মানুষ খুব সহজেই জোয়ারে পানিতে ভেসে বেড়ায়, নেই কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ৷ গত কয়েক বছর ধরে এই নিয়ে দাবি উঠলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো চিন্তাধারা পরিলক্ষিত হয়নি৷ ফলে অথৈজলে পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয় নিঝুমদ্বীপের মানুষকে । জীবন-জীবিকা অসহনীয় হয়ে ওঠে প্রকৃতির এ জোয়ার-ভাটার নিত্য খেলায়।   

গত তিনদিন ধরে জলজট সৃষ্টির ফলে নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে ফলানো ধান খেত , পানিতে ভেসে গেছে একাধিক খামারের মাছ, পানিতে নিমজ্জিত চলাচলের রাস্তাঘাটসহ বন্ধ রয়েছে দোকানপাটগুলো।  

এমতাবস্থায় এ দ্বীপ ইউনিয়ন'টিতে টেকসই বেড়িবাঁধের খুব প্রয়োজন বলে দাবি তুলেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফসার দিনাজ সহ কষ্টে থাকা সেখানকার মানুষগুলো। 

Link copied