শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত শরিফের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১১:০৭ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে আফ্রিকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শরীফ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেড়া খারুয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর পূর্বে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর লাশবাহী গাড়ি তার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
সেনা সদস্যদের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের পতাকা মোড়ানো কফিন গ্রহণ করেন শরিফের পিতা লেবু তালুকদার। এ সময় তার স্ত্রী, মা, ভাইবোন, স্বজন ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। লাশ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জানাজা নামাজ শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেড়াখারুয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শরিফ ছিলেন সবার বড়।
বেলকুচির আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর গত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন শরিফ।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মিশনে যান শরিফ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন (ব্যান ব্যাট-৮) ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত থাকেন।
গত ৩রা অক্টোবর দুর্গম এলাকায় অবস্থানরত অন্যতম অস্থায়ী ক্যাম্প কুই থেকে পরিচালিত যান্ত্রিক টহলের একটি দল মেজর আশরাফের নেতৃত্বে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাইতা এলাকায় টহলে যায়।
বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ফেরার পথে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফকে বহনকারী প্রথম গাড়িটি মাটিতে পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে পতিত হয়। এতে গাড়িটি প্রায় ১৫ ফুট দূরত্বে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সৈনিক শরিফ, সৈনিক জাহাঙ্গীর ও সৈনিক জসিম মারাত্মকভাবে আহত হন। জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪৪ কিলোমিটার দূরে বোয়ারে মিনুসকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।