৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নামবে জেলেরা
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২, ০৮:০৬ পিএম
শনিবার ২৩ জুলাই মধ্যে রাত থেকে শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ সময় পর ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পরবেন ভোলার সমুদ্র গামি ৬৩ হাজার জেলে।
ভোলার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে চলছে এখন মাছ ধরার প্রস্তুতি। কেউ প্রস্তুুত করছেন নতুন জাল,কেউ করছেন ফিশিং বোর্ট মেরামত , রঙ্গিন সাজে সাজাচ্ছেন নিজেদের মাছ ধরার ট্রলার টি।কারন আর একদিন পরেই সরগরম হয়ে উঠবে উপকূলের মাছ ঘাটগুলো। চিরচেনা রূপে ফিরবে মাছের আড়তগুলো।
জেলেরাও সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন। শুধু সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন ভোলায় এমন নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা রয়েছে ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। যারা নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন থেকে বেকার দিন পার করে আসছেন।হতাশা গ্রস্থ জেলেরা ফিরবেন চিরচেনা সেই কর্মস্থানে।তাই আগে থেকেই জাল, ফিশিং বোর্ডসহ নানা উপকরণ নিয়ে সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিন তারা। অভাব অনাটনের পর ঘরে ফিরবে স্বচ্ছলতা এমনটাই মনে করছেন জেলে পল্লীর বাসিন্দারা।
ভোলার বিভিন্ন উপজেলার জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়,দীর্ঘ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন কেটেছে, এখন মাছ ধরা শুরু হলে তাদের কষ্ট দূর হবে। তারা এত দিন ধার দেনা করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন সংকট কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাড়াবেন এমন স্বপ্ন তাদের চোঁখ-মুখে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা ছিলো তাই এ বছর ইলিশের উৎপাদন বারার সম্ভবনা রয়েছে। সমুদ্রের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সময়ে আমরা প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেদের ৮৬ কেজি করে চাল দিয়েছি। ইতমধ্যে ৫০ কেজি করে চিল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে বাকি চালও খুব শিগ্রই বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর।