ছিনতাইকারীর কবলে অন্তঃসত্ত্বা নারী
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৫১ এএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
ভোলায় ছিনতাইকারীর কবলে পরে নাসিমা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর নগদ টাকা ও স্বর্ন অলংকার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের ইসলামী ব্যংকের পাশের একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছোট বোন নাসরিন বেগম ও ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা হাবিবা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে সিজার করার উদ্দেশে সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হোন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা বেগম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাবিব মেডিকেলে গিয়ে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় আগামী বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর পুনরায় যেতে। সেদিন তার সিজার হবে।
পরে বেলা ১২টার দিকে হাবিব মেডিকেল থেকে বের হয়ে শহরের জিয়া সুপার মার্কেটে বাচ্চা ও নিজের জন্য পোশাক কিনতে যান নাসিমা। কেনাকাটার এক পর্যায়ে জিয়া সুপার মার্কেট থেকে একজন কিশোর ও একজন যুবক তাদেরকে ডেকে নিয়ে যায় বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক ভোলা জেলা শাখার দক্ষিণ পাশের একটি গলির মধ্যে। সেখানে পৌঁছার পর ওই দুইজনের সঙ্গে আরো একজন যুক্ত হয়।
এরপর অন্তঃসত্ত্বা নাসিমার সাথে থাকা তার বোন নাসরিনের হাতে পাঁচশো গ্রাম ওজনের একটি সুজির প্যাকেট দিয়ে তাদেরকে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্যের ঘ্রাণ দিয়ে হাতিয়ে নেন নগদ ৭ হাজার টাকা, নাসরিনের কানে থাকা ৪ আনা ওজনের দুইটি কানের দুল, গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি স্মার্ট ফোন।
ভুক্তভোগী নাসিমা ও নাসরিন সদর উপজেলা বাপ্তা ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল শহীদের মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা বেশকিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
ঘটনার পর পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদারের কাছে নিয়ে যায়। তিনি ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুনেন। এরপর তাঁরা অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্তঃসত্ত্বা নারী নাসিমা বেগম ও তার বোন নাসরিন বেগম কান্না জারিত কন্ঠে বলেন, আমরা হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে। ডাক্তার আগামী বৃহস্পতিবার সিজার করার কথা বলে দিয়েছে। কিন্তু ছিনতাইকারীরা আমাদের সকল টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে গেল। এখন সিজার করার টাকা পাব কোথায়?
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার জানান, এ ঘটনায় জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। তারা মেডিফাষ্ট ডায়াগনস্টিকসহ বেশ কয়েকটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করছে।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও আশ্বস্ত করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।