খাগড়াছড়িতে পাঁচ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১৬ এএম

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট
পার্বত্য চট্টগ্রামের তথা সারা বাংলাদেশের গর্ব দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (সাফ) জয়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের ছয় বীর কন্যা আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা ও তৃষ্ণা চাকমাকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের আয়োজনে আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে পরিষদের মাঠ প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজাতীয় শরণার্থী ও উদ্বাস্তু পূর্ণবাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
প্রধান অতিথি বক্তব্যের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আনাই, আনুচিং ঋতুপর্ণারা আমাদের পাহাড়ের গর্ব তথা সারা বাংলাদেশের। তাদের সংবদ্ধ করার জন্য আমাদের সকলের এক সাথে কাজ করতে হবে, অনুপ্রেরণা দিতে হবে। তারা আমার অন্তরের কাছে সব সময় থাকে। আমাদের সংবর্ধনায় তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। যেখানে ছেলেরা পারে নাই সেখানে কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে নারীরা দেখিয়ে দিয়েছে তারাই পারে। এটা আমাদের বিশাল অর্জন।
সাফ জয়ী নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, আজকে আমরা যে সংবর্ধনা পাচ্ছি এর জন্য আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমাদের মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এবং কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। এই বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদকে আমাদের সংবর্ধনা ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশের অন্যতম খেলোয়াড় মিডফিল্ডার ম্যাজিক ফুটবলার নামে পরিচিত মনিকা চাকমা বলেন, আপনারা আমাদের সংবর্ধনা দিয়ে সংঘবদ্ধ করেছেন। আমাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা এ খেলার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশকে পরিচিত করতে চাই। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা সামনে আরো ভালো কিছু করে দেখাতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, মং সার্কেল সাচিংপ্রু চৌধুরী, সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও ছাত্রছাত্রী।
পরে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (সাফ) জয়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের ছয় বীর কন্যাকে সংবর্ধনা স্মারক ও প্রত্যেককে দুই লক্ষ এক হাজার করে চেক প্রদান করা হয়।
এরপর আনাই, আনুচিং মগিনীর বাড়ির পাশের ব্রীজ নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা ঘোষণা করেন পাজেপ চেয়ারম্যান।