জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

শফিকুল ইসলাম সোহেল, শরীয়তপুর

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম


জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ডামুড্যা উপজেলার, ডামুড্যা পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৫ই অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টায় ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে রুমে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ ডামুড্যার ভোটারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ মতবিনিময় সভায় ডামুড্যা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন মাঝি, ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ গোলন্দাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী, ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ শরীফ আহমেদ, ডামুড্যা উপজেলার নির্বাচন অফিসার রেজওয়ান আহমেদ, ডামুড্যা উপজেলার আইসিটি কর্মকর্তা লিটন মুন্সি, জেলাপরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (হাতি প্রতীক) আবুল মুনসুর আজাদ শামীম খান, জেলাপরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (তালা প্রতীক) সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওসমান মীর, কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্ছু মাদবর, পূর্বড্যামুড্যার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন হাওলাদার, সিড্যা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিল্লু রহমান, ধানকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন, ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্যা, শিধলকুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবুল শেখ, দারুলআমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিন্টু সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ই অক্টোবর।

নির্বাচন সুষ্ঠ করতে কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

সেই সঙ্গে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন, গোপন ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না ভোটাররা।

ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিঃ

ইভিএম সম্পর্কে  জানান, ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটার আসার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ ও ভোটার নম্বর যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন।

এ সময় ভোটারের ছবি ও তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের পরিচয় দেখতে পারেন।

ভোটারকে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বাম পাশে এবং নাম ডান পাশে দেখা যাবে।

এরপর ইভিএম-এ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা বাটনে চাপ দিতে হবে।

এ সময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডান পাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

কোনও কারণে যদি ভোটার ভুল প্রতীক শনাক্ত করেন তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ভোটারকে ডান পাশের লাল বাটনে চাপ দিতে হবে।

এতে ভুল করে দেওয়া পূর্বের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। সঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিলে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে।

পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএমে ভোট দেওয়ার নিয়ম বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সকল প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে।

এতে ভোটার নিশ্চিত হবেন যে, ওই প্রতীকে তার ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে আসার আগে ভোটারকে তার ভোটটি কোন বুথে পড়েছে সেটি জেনে আসা ভালো। তাহলে আরও সহজেই ভোট দেওয়া সম্ভব হবে।

Link copied