তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ে ফের বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেঃ মিঃ (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেঃ মি)। যা বিপদসীমার ১০ সেঃ মিঃ নিচে।
ব্যারাজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে।
বুধবার (১২ই অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এ প্রবাহ আরও বাড়তে থাকে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমা ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করায় নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে এবং আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের কিছু রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্যারাজ বিভাগরে নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও ছুঁই ছুঁই করছে। তবে আপাতত বন্যার কোনো আশংকা নেই।