আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

মোঃ রুবেল মিয়া, নবীনগর

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৬ এএম


আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

ছবিঃ একাত্তর পোস্ট

একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দু'পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া (৫২) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, গত ৬ মাস পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোস্তফা জামালের নেতৃত্বে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিলো।

আগামী ইউনিয়ন সম্মেলনকে সফল করতে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর লিষ্ট যাচাই-বাছাই উপলক্ষে গত ৭ অক্টোবর বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা চলাকালীন ৮নং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে সেলিম মিয়া অসন্তোষ প্রকাশ করলে উপজেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সামনেই প্রতিপক্ষের লোকজন তার ও তার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ ঘটনায় সেলিম মিয়া সহ উভয় পক্ষের প্রায় ৫-৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম মিয়া জানান, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু নিজের ভীত শক্ত করা জন্য ৮ নং ওয়ার্ডে সাবেক বিএনপি নেতা জালাল মিয়াকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বানিয়েছেন। আমি বর্ধিত সভা চলাকালীন এ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলে সালাউদ্দিন বাবু ও জালাল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমার ও আমার লোকজনের উপর হামলা করা হয়।

আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এ যাত্রায় বেচেঁ গেছি। আমার মাথায় ১৪ টা সেলাই লাগছে। আমি এখনো নবীনগর সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারের তত্তাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছি।

আমি এ ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। এখানে দুপক্ষই আমার এবং কোন বিএনপি নেতাকে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি বানানো হয়নি।

উপজেলা নেতৃবৃন্দ ছিল তাদের পরামর্শ ক্রমে ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদককে সভাপতি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক বলেন, বর্ধিত সভা চলাকালীন দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে এবং দু'পক্ষের প্রায় ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। এতে পরিষদের কিছু চেয়ারও ভাংচুর করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোস্তফা জামাল এব্যাপারে জানান, কোন বিএনপি নেতাকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি করা হয় নি।

যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি (জালাল মিয়া) ২০১১ সালের ওয়ার্ড কমিটিতে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন। তাছাড়া ১৯ টি ভোটের মধ্যে সে ১৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন। যারা তাকে বিএনপি নেতা বলে প্রচার করছেন, এগুলো মিথ্যা প্রচারণা।

Link copied