চকরিয়ায় আখ চাষে বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশিত: ১৫ অগাস্ট ২০২২, ০১:৫৬ পিএম
ছবি: একাত্তর পোস্ট
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় চলতি মৌসুমে চিবিয়ে খাওয়া আখ চাষে আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছে চাষীরা। খরিফ মৌসুমের এক গুরুতপূর্ণ অর্থকরী ফসল আখ। উচ্চফলনশীল দীর্ঘমেয়াদি এ ফসল অত্যাধিক লাভজনক চাষ। বিশ্বের শর্করা উৎপাদনের ৭৫% ভাগ আখ থেকে আসে। চিনি ও গুড় উৎপাদনের প্রধান উদ্ভিজ্জ উপদান এ আখ।
চকরিয়ায় ১৮ টি ইউনিয়নে আবাদি জমিতে অন্যান্য চাষের চেয়ে চাষীরা আখ ক্ষেত করে লাভের টাকা পেয়ে খুশিতে আটকানা।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নে আবাদি জমির পরিমান ২২২২৩ হেক্টর। এর মধ্যে আমণ ও বোরো ধানের চাষ হয় অধিকাংশ জমিতে। ঋতুভেদে সবজি চাষ হয় প্রায় ১৫'শ হেক্টর জমিতে। বিগত কয়েক বছর আগে ব্যাপক হারে গোলাপ চাষ হতো চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নে। কৃত্রিম(প্লাস্টিক) ফুলের উৎপাদন ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গোলাপের চাষ এখন বিলুপ্তির পথে।
গোলাপ চাষে ধ্বস সবজি,ধান,তামাক,গোলাপ বিক্রি কমে যাওয়ায় চাষীরা গোলাপ চাষ ছেড়ে এখন আখ চাষে মনোযোগী হয়ে উঠেছে। কৃষকরা অন্যান্য কৃষিজ সবজি চাষের চেয়ে এবার আখ চাষে ভাল সফল হয়েছে বলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে চকরিয়ার কৃষিজ জমির মাটি উর্বর হওয়ায় এ উপজেলায় কৃষিজ ফলন হয় ভাল।ফলে এ উপজেলার চাষীরা ঋতুভেদে বিভিন্ন কৃষিজ উৎপাদনে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে থাকে।
আখের ফলন ভাল হওয়া কৃষকরা আখ চাষের প্রতি ঝুকে পড়ছে। বর্ষা ঋতুর আষাঢ়- শ্রাবণ মাস অতিক্রম হতে চললেও বছরের এ মৌসুমে ভারী বর্ষণ না হওয়ায় চকরিয়ায় বন্যার প্রকোপ দেখা যায়নি। ফলে এ মৌসুমে কৃষকরা আখ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে।
চকরিয়া উপজেলার উন্নয়ন শাখার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব দে একাত্তর(৭১) পোস্টের এ প্রতিনিধিকে জানান,চকরিয়া উপজেলায় ২২২২৩ হেক্টর জমিতে বোর ধান,আমণ ধান, বিভিন্ন প্রকার সবজি ও রবি শস্যের চাষ হয়। এর মধ্যে এ মৌসুমে ৩২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে।
আখ চাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষিজ উৎপাদনের মধ্যে আখ একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান করে নেবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। দেশে চিনির চাহিদা মেটানোর পরও ইক্ষুকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আখের যোগান দিতে পারলে চিনি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।